রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন
২য় পর্ব
রফিকুল ইসলাম॥
উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের একটি ফ্ল্যাটে গড়ে উঠা জিউনেস নামের অজ্ঞাত বিদেশী হারবাল পণ্য যা বিউটি (সৌন্দর্য বা রুপচর্চা ) এবং ওয়েলনেস ( স্বাস্থ্য ) বৃদ্ধি, ধরে রাখা এবং ফিরে পাওয়ার জন্য ৪০ উর্ধ্বে নর- নারীদের মধ্যে এমএলএম আকারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
জিউনেস পণ্য বিক্রি করে আউট সোর্সিং হিসেবে মাসে মিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ কোর্সে প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হয় ( জিরো থেকে হিরো ) নামের মোঃ রবিউল সরদারকে। রবিউল সরদার নিজেকে সিলবার ওয়ার্ল্ড বিডি এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিলবার গ্যালারি লিঃ এর চেয়ারম্যান এবং মন্ডল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান দাবি করেন। রবিউলের দাবি অনুযায়ী মন্ডল গ্রুপর জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সাথে ০১৭১৩২৭৯৭৩১ নাম্বারে যোগাযোগ করলে তারা প্রতিবেদককে বলেন, এই নামে তাদের কোন ডিরেক্টর বা ভাইস চেয়ারম্যান নেই এবং সিলভার ওয়ার্ল্ড বিডি এর ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে দেখা যায়, তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিলভার গ্যালারি লিঃ এ কোন চেয়ারম্যান পদ নেই। মূল প্রতিষ্ঠান সিলভার ওয়ার্ল্ড বিডি এ তাকে একজন সাধারন ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়েছে। রবিউল নিজেকে সিলভার গ্যালারি লিঃ এর চেয়াম্যান হিসেবে ভিজিটিং কার্ড বিতরন করেন সেমিনারে আগত প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে।
সিলবার ওয়ার্ল্ড বিডি এর ওয়েব পেজের এক ক্যাটাগরিতে দেখা যায়, গার্মেন্স সেক্টর ভিত্তিক ইংরেজী নিউজ পেপার “ দ্যা এ্যাপারেল নিউজ ” এ রবিউলকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তাকে মন্ডল গ্রুপের ওয়ার্কিং পার্টনার ( বিনোয়োগ বিহীন নির্বাহী অংশীদার, ) হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উক্ত নিউজ পেপারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিউলের কঠোর পরিশ্রম, সততা ও স্বপ্ন ছিল মূলধন, আজ সে শ্রমিক থেকে মালিক। কিন্তু মন্ডল গ্রুপের ওয়েব সাইটের কোন ক্যাটাগরিতে তার নাম পাওয়া যায়নি। একটি সূত্রে জানা যায়, মন্ডল গ্রুপে রবিউলের বিরুদ্ধে ভিবিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জমা হলে, তার সব ধরনের সুযোগ সুবিধা কেড়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কার করা হয়। এই রবিউল এখন গ্লোবাল সোর্সিং নামক প্রতারনা ব্যবসার মূল হাতিয়ারে ( মডেল হিসেবে উপস্থাপন ) পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে রবিউলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উত্তেজিত কন্ঠে প্রতিবেদককে বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমি মানহানি মামলা করব। প্রতিবেদক তাকে তার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাটে দেওয়া, তার পরিচিতির সঙ্গে ভিজিটিং কার্ডে ব্যবহৃত পদবির মধ্যে অসঙ্গতির কথা তুলে ধরলে, তিনি প্রতিবেদককে তার হেড অফিসে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন।